মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে এখনো বহাল রয়েছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এবং পরবর্তীতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার জন্য বিতর্কিত ও নিষিদ্ধ ঘোষণা পাওয়া মো. আক্তার হোসেন।
এই অবস্থান থেকে তিনি নানা সুবিধা ভোগ করছেন এবং স্থানীয় প্রশাসন থেকেও তাকে নিয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
বিষয়টি নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে একজন নিষিদ্ধ ও বিতর্কিত নেতা কীভাবে এখনো সরকারি পদে বহাল থাকতে পারেন?
২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর তাকে বিআরডিবির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের নভেম্বরে। অথচ এই সময়কালে তিনি দলীয় নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছেন এবং রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
জনগণের অভিযোগ, বিআরডিবির মতো একটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনের জন্য যে নৈতিকতা, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রয়োজন, তা আক্তার হোসেনের মধ্যে অনুপস্থিত।
সরকারের ‘দলীয় প্রভাবমুক্ত ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ’ নীতির বিপরীতে এই ঘটনা যেন এক নির্মম ব্যঙ্গ।
এতে প্রশ্ন উঠছে এই নিয়োগ কি প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিফলন, না কি রাজনৈতিক ছত্রছায়ার প্রতিচ্ছবি?
ব্রাহ্মণপাড়ার সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করছে, বিআরডিবির মতো একটি সংস্থার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি জনগণের বিশ্বাস না থাকে, তবে সে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপরও সেই অনাস্থা বর্তাবে। তাই দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে এই বিতর্কিত ব্যক্তিকে অপসারণ করার দাবি জোরালো হচ্ছে।
Leave a Reply