মোঃ শাহজাহান বাশার
পূর্ব ভূমধ্যসাগরের উপকূলে এক টুকরো রক্তমাখা মাটি গাজা। আজ সেই গাজা যেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কারাগার। যেখানে প্রতিদিনই রক্ত ঝরে, মায়ের বুক খালি হয়, শিশুর কান্না মিশে যায় ধ্বংসস্তূপের মাঝে। এমনই এক সময়ে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী মোঃ শাহজাহান বাশার।
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে ফিলিস্তিন শুধু একটি জাতির আর্তনাদ নয়, বরং মানবতার চূড়ান্ত পরীক্ষা। বিশ্বের সকল মুসলিম দেশকে এখনই ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে। নির্লজ্জ নীরবতা নয়, দরকার সাহসী উচ্চারণ। গাজার একটি শিশুর কান্নাও আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটানোর মতো হওয়া উচিত।
শুধু প্রতিবাদ নয়, শাহজাহান বাশার তার বক্তব্যে মুসলিম উম্মাহর ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা চেতনা ও আত্মসম্মানকে জাগিয়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা এক দেহের মতো গাজায় যখন একজন শিশু ক্ষুধায় কাতরায়, আমাদের ঘুম কিভাবে আসে? আমরা কি আমাদের পূর্বপুরুষদের সাহসী ঐতিহ্য ভুলে গেছি? আজ দরকার, শক্তি নয় বরং চেতনার জাগরণ।
তার এই বক্তব্যে উপস্থিত অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। একজন প্রবীণ শিক্ষক বলেন, “এমন কথায় শুধু প্রতিবাদ নয়, দায়িত্ববোধও জেগে ওঠে। আমাদের প্রয়োজন এমন হৃদয়বান নেতৃত্ব, যারা জাতিকে ভাবতে শেখাবে।”
সাংবাদিক শাহজাহান বাশার তার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে মানবতা, ন্যায়বিচার ও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। তার বক্তব্যে শুধু ফিলিস্তিন নয়, উঠে এসেছে বাংলাদেশেরও দায়বদ্ধতা।
তিনি বলেন, একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদেরও উচিত নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানো। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাহসের সাথে বলার মতো নেতৃত্ব গড়া। কারণ আজ যদি আমরা চুপ থাকি, কাল আমাদের ঘরেও এমন ট্র্যাজেডি হতে পারে।”
সাংবাদিক শাহজাহান বাশারের এই বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পড়ে। অনেকেই তার পোস্ট শেয়ার করে লিখছেন এমন প্রতিবাদ হোক হৃদয় থেকে, যেন তা বদলায় ইতিহাসের গতিপথ।”
দেশের এই সচেতন কণ্ঠ যেন প্রমাণ করে দিল—গাজার কান্না এই বাংলার মাটিতেও প্রতিধ্বনিত হয়। আর যখন একজন সাংবাদিকও কলম ছাড়াও প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ওঠেন, তখন বোঝা যায়মানবতা এখনও মরেনি।
Leave a Reply