1. admin@cumillacrimebarta.com : rezaul : info.comilla crime
  2. comillacrime7@gmail.com : faisal shikder : faisal shikder
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের  আগামীর কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক আলোচনা ও দিকনির্দেশনা মূলক সভা চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলা এবং বৈশাখী মেলা এবার ১১৬ বছরে পা দিল প্রসাদনগর এতিমখানায় নানান দুর্নীতি ও অবৈধ পারিবারিক কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন বাগেরহাটে মুক্তিপণেরর দাবিতে আটকে রাখা তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিক উদ্ধার আটক-৪ মাদক বিরোধী মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ ব্যবস্থা না নিলে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘোষনা নাটোরের নলডাঙ্গায় অগ্নিকান্ডে একটি বাড়ির দুটি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন মাদকের গডফাদার এলিজা কুমিল্লায় বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএমের বিরুদ্ধে মাটি, গাছ ও যন্ত্রাংশ অবৈধ বিক্রির অভিযোগ ব্রাহ্মণপাড়ায় হাড়ভাঙ্গা ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায়  শিশুর হাত অকেজোর পথে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া সড়কে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় সিএনজি চালক’কে ৫ দিনের জেল

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির চিনিকলে বিএমআরই (ব্যালেন্সিং মর্ডানাইজেশন

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
  • ২৬ বার পাঠ করা হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির চিনিকলে বিএমআরই (ব্যালেন্সিং মর্ডানাইজেশন রেনোভেশন অ্যান্ড এক্সপেনশন) প্রকল্পের কাজ এক যুগেও শেষ হয়নি। পাশাপাশি অটোমেশন পদ্ধতিও চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে এখনো ব্রিটিশ আমলের পদ্ধতিতে আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। সরকারের ১০২ কোটি ২১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার এ প্রকল্পে ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করায় নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলছে। এতে নির্ধারিত সময় পার হলেও অটোমেশন কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।

দেশের অন্য সব চিনিকল ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে আখ মাড়াইয়ের কার্যক্রম শুরু করলেও দর্শনার কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ ২০ ডিসেম্বর আখ মাড়াই শুরু করতে সক্ষম হয়। দেরিতে আখ মাড়াই শুরু হওয়ার কারণে একদিকে আখ শুকিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা ।

চলতি মৌসুম অর্থাৎ ২০২৪-২৫ মৌসুমে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬০ হাজার ৪৩৮ টন আখ মাড়াই করে তিন হাজার ১২৮ টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি হলেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম। আর কয়েক দিন চলবে আখ মাড়াই। তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে না বলেও একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন। এর আগে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৬ হাজার ৪১৩ টন আখ মাড়াই করে ২,৬০৮ টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল।

এদিকে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি আখ মাড়াই বন্ধ করা হয়। এরপর ১৫ দিন মাড়াই বন্ধ থাকার অটোমেশন চালু না হওয়ায় আবার সেই পুরোনো পদ্ধতিতে আখ মাড়াই শুরু হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, ২৫ ফেব্রুয়ারি আধুনিকায়নকৃত মিলের মাধ্যমে আখ মাড়াইয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পাওয়ার টার্বাইনে সমস্যা হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি।

বিএমআরই প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ফিদাহ হাসান বাদশা জানান, ‘পাওয়ার টার্বাইন সমস্যা নিরসনে জোরেসোরে কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে, এ কাজ সম্পন্ন করা হলে ওয়াটার ট্রায়ালের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হবে। ফলে এবার না হলেও আগামী আখ মাড়াই মৌসুমে অটোমেশন পদ্ধতিতে আখ মাড়াই করতে পারবে কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ।’

কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, ‘বিএমআরই প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রয়লার ও মিলহাউজ নতুনভাবে বসানো হচ্ছে। এটা সরকারের একটা উন্নয়ন প্রজেক্ট। এটা দেখভালের জন্য এই প্রকল্পের একজন প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) আছেন। এই প্রকল্প শেষ হওয়ার দুই বছর পর কর্তৃপক্ষ কাজ বুঝে নেবে। তাই এই প্রকল্পের বিষয়ে কেরু কর্তৃপক্ষ মন্তব্য করতে পারি না। কারণ করপোরেশন থেকে আমাকে লিখিতভাবে যা নির্দেশনা দেয়, আমি সেটাই পালন করি।’

বিএমআরই প্রকল্পে ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, যা প্রকল্পের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে। এই প্রজেক্টে থাকা একাধিক কর্মকর্তা এমন দাবি করেছেন। তবে কেউ নাম বলেননি। তারা নাম প্রকাশ না করে বলেছেন বলছেন, ‘এই প্রকল্পের যন্ত্রপাতি দীর্ঘ দিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ওপর মরিচা ধরেছে।

দর্শনা কেরু সূত্রে জানা গেছে, ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০২ কোটি ২১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১২ সালে বিএমআরই প্রকল্পের অনুমতি মেলে। এরপর ২০১৩-২০১৪ সালে চুক্তি হয় বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের সাথে। তবে, প্রকল্পটির মূল কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। ২০১৬ সালে শেষ হয় প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ। পরবর্তীতে কিছু কাজ সংযোজনের জন্য ২০১৮ সালে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব দেয়া হয়। এতে নতুন মিল হাউজ, আধুনিক আরো একটি টার্বাইন বসানো, সুগার জার স্থাপন, সুগার প্যান বসানোসহ অনেককিছু সংযোজন করা হয়। ওই বছরের ৪ নভেম্বর সংশোধিত প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। পরে আবারো চুক্তি হয় বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের সাথে। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে কাজ শেষ হচ্ছে না। ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করায় জটিলতা দীর্ঘ হচ্ছে। হাতের স্পর্শ ছাড়াই অটোমেশন পদ্ধতিতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন কার্যক্রম মুখথুবড়ে পড়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2025
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি