স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা -মোঃ শাহজাহান বাশার
কুমিল্লার মুরাদনগরে অবস্থিত বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জিয়াউল কবিরের বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মাণের মাটি, সরকারি গাছ ও যন্ত্রাংশ অবৈধভাবে বিক্রির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে একই পদে থাকা এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ বেহাত করার অভিযোগে স্থানীয়দের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযোগের বিস্তারিত
সূত্রে জানা যায়, বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের প্রবেশপথে ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৪০ মিটার রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের কাজ পায় মের্সাস কাজী জাহাঙ্গীর নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাস্তা খননের সময় উত্তোলিত প্রায় একশ ট্রাক্টর মাটি গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন বল্লবদী গ্রামের মুকবল হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ডিজিএম জিয়াউল কবির ঠিকাদারের সাথে আঁতাত করে এই অবৈধ লেনদেনে জড়িত।
এছাড়াও, স্থানীয়রা দাবি করেন, গ্যাস ফিল্ডের পুরনো যন্ত্রপাতি ও গাছপালা সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারিতার সাথে বিক্রি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে একই পদে থাকায় জিয়াউল কবির স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে এই অনিয়ম চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
ডিজিএমের বক্তব্য: "ষড়যন্ত্র চলছে"
এসব অভিযোগের জবাবে বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিয়াউল কবির বলেন, "কাজ ঠিকাদার করছে, আমার পক্ষে এখানের মাটি বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। গ্যাস ফিল্ডের কোনো গাছ বা যন্ত্রাংশ আমি বিক্রি করি না। যারা এসব অপপ্রচার ছড়াচ্ছে, তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।"
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, সরকারি সম্পদ লুটপাটের এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে সচল থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি উপেক্ষা করছে। তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
গ্যাস ফিল্ডের মতো গুরুত্বপাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এমন অনিয়ম রোধে জরুরি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। জনসাধারণের পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠেছে—দীর্ঘদিন একই পদে থাকা এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন আগে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? এ নিয়ে স্বচ্ছ তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে