নাটোরের নলডাঙ্গায় শত শত পূণ্যার্থীর অংশ গ্রহনে ২শ বছরে পুরনো ঐতিহ্য গঙ্গাস্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুণ্য স্নান করার পর এবারে বাঁধভাঙ্গা ভীড় নেমেছে পুণ্যার্থীদের।
শনিবার (৫ এপ্রিল) উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল শ্বাশান ঘাট ও শ্যামনগর বারনই নদীতে ভোর থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী এ পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়। চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে এ পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পাপ মুক্ত হয়ে পূণ্য লাভের আশায় ভোর থেকে হাজার হাজার পূণ্যার্থীরা বারনই নদীর পূর্ব সোনাপাতিল শ্বশান ঘাটে ও শ্যামনগর ঘাটে ভীড় জমাতে থাকেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও আগত ভক্তরা ও আয়োজক সন্তেষ কুমার,আনন্দ কুমারসহ অনেকে জানান, যে কোন স্নানের চেয়ে এ স্নানে হাজার গুণ পূণ্য বলে বিভিন্ন জেলার পূণ্যার্থীরা এখানে স্নানে অংশ গ্রহণ করে থাকেন। এছাড়াও আয়োজন করা হয় কালী পূজা ও কীর্তন মেলা। এ উপলক্ষ্যে পূর্ব সোনাপাতিল শ্বশান ঘাটে ও শ্যামনগর বারনই নদীতে ঘাট এলাকা জুড়ে রকমারী পসরা নিয়ে বসেছে মেলা। দূরদূরান্তের থেকে এসে জড়ো হয় সাধু সন্যাসীরা।
সেই সাথে স্থানীয় এলাকাবাসী ও আগত ভক্তরা ও আয়োজকরা দাবি করেন,এতো পুরনো একটি ঐতিহ্য কিন্তু এখানে এখনও কোন ঘাট স্থাপন হয়নি। যার ফলে বয়স্ক ব্যাক্তিদের নিয়ে অনেক সমস্যার পরতে হয়। এখানে ঘাটটি পাঁকাকরন করে আয়োজনটি আরও সুষ্ট করা দাবি করেন,স্থানীয় এলাকাবাসী ও আগত ভক্তরা ও আয়োজকরা।
শ্যামনগর মহাশ্বাশান ঘাট পুজা আয়োজক কমিটির সভাপতি শ্রী গোপাল চন্দ্র মোহন্ত
ও সাধারন সম্পাদক, শ্রী বিধান চন্দ্র শীল বলেন,বছরের এই সময়টায় এ প্রতিবছর এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে পূর্ণার্থীরা এই খানে সমবেত হোন। গঙ্গাস্নান উপলক্ষে এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসে। এখানে সার্বিক নিরাপত্তা দিচ্ছে,নলডাঙ্গা থানা পুলিশের সদস্যরা।