স্টাফ রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা সোনারগাঁ থানা অন্তর্গত জামপুর ইউনিয়নে পেচাইন চায়না ইন্ডাস্ট্রির বালু ভরাকে কেন্দ্র করে বিএনপির ও জামাতি ইসলাম দুই গ্রুপের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই উভয়পক্ষ ঐ স্থান থেকে চলে যায়।
শনিবার (০৮ মার্চ) দুপুরের দিকে পেচাইন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সর জমিনে গিয়ে জানা যায়, পেচাইন চায়না কোম্পানিতে বালু ভরাটের জন্য ডিট করে ওটমা গ্রামের স্থানীয় মনো মিয়া, ১০/১২ দিন আগে, জাতীয় পার্টির নেতা জাকিরের মাধ্যমে লোকজন দিয়ে প্রথমে বালু ভরাতে চেষ্টা করে।
স্থানীয় বিএনপির নেতারা বিষয়টি জানতে পারলে জাকিরকে কাজ না করার জন্য বলে। পরবর্তীতে বালুভরা বন্ধ থাকে। পরে স্থানীয় বিএনপি ও জামাত ইসলামের সোনারগাঁ ৩ আসনের এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা ডক্টর ইকবাল হোসেনের ছোট ভাই জাহিদুল হক বুলবুল,কামাল আওলাদ, মোরশেদ, রবিউল্লাহ, সেলিম, শাহ আলম, আরো অনেক নেতারা মিলে কাজ করার জন্য বসে। ওই বৈঠকে ২০ সদস্যের একটি কমিটির গঠন করে। যারা বালুভরাটে পাটনা থাকবে প্রত্যেক জনকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে ডোনেশন দিতে হবে,বলে ওই বৈঠক শেষ করে। পরবর্তীতে মনো মিয়া বলে আমি আপনাদের নামে ডিট করে দিব আপনারা সবাই মিলে কাজ করেন।
পরের দিন আবারো বুলবুল, আওলাদ, কামাল, কামরুজ্জামান আরো অনেকে মিলে বালু ভরাট করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির নেতারা বাধা প্রদান করে। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি আমরা মনো মিয়ার ডিটে বালু ভরাট করিব না। পরে তারা জামপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি আল মুজাহিদদের দ্বারপ্রান্ত হয় পরবর্তীতে আল মুজাহিদ ২৫ সদস্যের এটি কমিটি করে দিয়েছে সবাই মিলে মিসে কাজ কর। তখনও স্থানীয় বিএনপির নেতাদের দাবি আমরা কমিটি মানি, কিন্তু মনো মিয়া ডিটে কাজ করব না। উল্লেখ থাকে যে মনো মিয়া ভগ্নি প্রতি হচ্ছে সোনারগাঁও ৩ আসনের জামাত ইসলামের এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা ডক্টর ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, গতকাল ৮/৩/২৪ জামাত ইসলামের লোকজন লাঠি ছোটা নিয়ে বালু ভরাটের চেষ্টা করলে বিএনপির কিছু লোক বালুভরাটের বাধা দিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে চায়না কোম্পানির মালিক পক্ষে সোনারগাঁ থানায় ১৮ জনের নাউল্লেখ করে একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে