1. admin@cumillacrimebarta.com : rezaul : info.comilla crime
  2. comillacrime7@gmail.com : faisal shikder : faisal shikder
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের  আগামীর কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক আলোচনা ও দিকনির্দেশনা মূলক সভা চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলা এবং বৈশাখী মেলা এবার ১১৬ বছরে পা দিল প্রসাদনগর এতিমখানায় নানান দুর্নীতি ও অবৈধ পারিবারিক কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন বাগেরহাটে মুক্তিপণেরর দাবিতে আটকে রাখা তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিক উদ্ধার আটক-৪ মাদক বিরোধী মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ ব্যবস্থা না নিলে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘোষনা নাটোরের নলডাঙ্গায় অগ্নিকান্ডে একটি বাড়ির দুটি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন মাদকের গডফাদার এলিজা কুমিল্লায় বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএমের বিরুদ্ধে মাটি, গাছ ও যন্ত্রাংশ অবৈধ বিক্রির অভিযোগ ব্রাহ্মণপাড়ায় হাড়ভাঙ্গা ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায়  শিশুর হাত অকেজোর পথে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া সড়কে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় সিএনজি চালক’কে ৫ দিনের জেল

বাগেরহাটে প্রবাসী প্রতারণার শিকার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৮২ বার পাঠ করা হয়েছে

তরিকুল মোল্লা, বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাটে স্বামী পরিত্যক্তা পরিচয়ে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীর কাছ থেকে ৪৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তুহিনা আক্তার লিনা নামের এক নারীর বিরুদ্ধে।

শুধু টাকা হাতানো নয়, ওই প্রবাসীর স্থানীয় স্বজনদেরও হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন লিনা ও তার লোকজন। টাকা ফেরত পেতে কোরিয়া প্রবাসী আবুল কালাম আজাদ ওই নারীকে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন। প্রতারণার শিকার দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী আবুল কালাম আজাদ (৪৫) বাগেরহাট সদর উপজেলার বাকপুরা গ্রামের শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছেন। অভিযুক্ত তুহিনা আক্তার লিনা (৪৭) ফকিরহাট উপজেলার সাতশৈয়া গ্রামের আব্দুল মতিন শেখের মেয়ে ও ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল কামাল কারিমের স্ত্রী। তুহিনা আক্তার লিনার বিরুদ্ধে আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও একাধিক ব্যক্তির সাথে অবৈধ সম্পর্ক ও প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে।

কোরিয়া প্রবাসী আবুল কালাম আজাদ ৫ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুহিনা আক্তার লিনার সাথে তার পরিচয় হয়। লিনা নিজেকে স্বামী পরিত্যক্তা ও অসহায় নারী হিসেবে উপস্থাপন করেন। এরপর থেকে ফোন কল, ইমো ও হোয়াটসএ্যাপে নিয়মিত কথা হতো। এক পর্যায়ে তার সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। এক পর্যায়ে মুঠোফোনে লিনার দেওয়া বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হন তিনি। কথা থাকে কোরিয়া থেকে বাড়ি আসলে উভয়পক্ষের অভিভাবকের উপস্থিতিতে তাদের বিবাহ হবে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে লিনার চাহিদা মত টাকা পাঠাতে থাকেন আবুল কালাম আজাদ। বিভিন্ন এনজিও’র ঋণের কিস্তি খেলাপি হওয়ায় লিনার নামে আদালতে মামলা হয়। আবুল কালাম আজাদের পাঠানো টাকা দিয়ে সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পান তুহিনা আক্তার লিনা।

আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, বিভিন্ন সময় নানা সমস্যা দেখিয়ে লিনা আমার কাছ থেকে ৪৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়েছে। পাঠানো টাকার প্রায় সব ব্যাংকিং রশিদ আমার কাছে আছে। টাকা দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের সাথে নিয়মিত মুঠোফোনে কথা হতো। সে তার বাপের বাড়ি আলাদা বসবাস করে। আমার সাথে সংসার করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু আরও বেশি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তুহিনা আক্তার লিনা তার স্বামী শরিফুল কামাল কারিমের সাথে বসবাস করছে। মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্বামীর সাথে বসবাসের বিষয়টি স্বীকার করেন লিনা। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে লিনার কাছে আমার কষ্টে উপার্জিত টাকা ফেরত চাই এবং লিনার বাবা-মা ও স্বজনদেরকে জানাই। ফকিরহাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল কামাল কারিমকে বলেও কোনো প্রতিকার পাইনি। বরং শরিফুল কামাল কারিম ও তার সহযোগী মিঠুনসহ অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমনকি আমার পরিবার ও আমি দেশে আসলে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। টাকা পাওয়া সত্তেও তারা টাকা না দেওয়ার জন্য এবং আমাকে হয়রানি করতে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। আমি জীবনের নিরাপত্তাসহ টাকা ফেরত চাই বলে মুঠোফোনে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই প্রবাসী।
প্রবাসী আবুল কালাম আজাদের ভাই মোঃ হাসান বলেন, লীনাদের একটা চক্রই আছে এসব কাজ করার জন্য। তারা প্রতারণার ফাঁদ পেতে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কিছুদিন আগে লিনাসহ ৫-৭ জন লোক আমার দোকানে এসে হুমকি দিয়ে বলতে থাকে, আপনার ভাইরে নিষেধ করে দিয়েন কোথাও কোন কথা যেন না বলে। তাদের বিরুদ্ধে নালিশ করে কোন লাভ হবে না। আমাদের মামা বাড়ি যেয়েও হুমকী দিয়েছে তারা। আমাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা করবে, আমাদের দেখে নিবে। আমার ভাইয়ের কষ্টার্জিত টাকা আমরা ফেরত চাই। আর কেউ যাতে এ ধরনের ফাঁদে পড়ে প্রতারণার শিকার না হয়, এজন্য লিনাসহ তার সহযোগীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন এই ব্যবসায়ী।

এদিকে আবুল কালাম আজাদের নিযুক্ত আইনজীবী ফাহমিদা সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে তুহিনা আক্তার লিনার কাছে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তারা সেই নোটিশের উত্তরে সব কিছু অস্বীকার করেন। আমাদের কাছে থাকা তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে আমরা খুব শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ বিষয়ে তুহিনা আক্তার লিনা কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সবকিছু অস্বীকার করেন তার স্বামী শরিফুল কামাল কারিমকে ফোন দিতে বলেন। তবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কারিমের মুঠোফোনে বার বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2025
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি